নিজস্ব প্রতিনিধি:
গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন জনগনের মালিকানা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারি সকলের অবদানকে শিকার করা উচিত। কাউকে খাটো করে ইতিহাস বিকৃত করা উচিত নয়। আজ স্বাধীনতার সেই নীতি, আকাঙ্খা ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে জনগনের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড় করানো হচ্ছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংসের মূখে ঠেলে দে্ওয়া হচ্ছে । সুবর্ণ জয়ন্তীকে সামনে রেখে আমাদের ঘুরে দাড়াতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে । বঙ্গবন্ধু আমাদের চেতনায় এবং মননে সব সময় উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন আমার দেশ স্বাধীন করতে চাই । ৬দফা ঘোষনার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। আন্দোলনের ফলে বঙ্গবন্ধু নিঃশর্ত ভাবে মুক্তি লাভ করে আইয়ুব খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।
তিনি আরো বলেন ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের পর অসমাপ্ত মুক্তির সংগ্রাম তাজউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে দেশবাসি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে । দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমের দেশ স্বাধীন হয়। আমরা কেরানীগঞ্জ থানা দখল করে পাকিস্থানিদের আত্মসমার্পন করিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করি। এ অপশাসনের বিরুদ্ধে সকল গনতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ।
আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজর (অবঃ) আসাদুজ্জামান বীর প্রতিক, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, আইয়ুব খান ফারুক, খান সিদ্দিকুর রহমান, এড মোঃ হেলাল উদ্দিন, আব্দুল বাতেন খান, লতিফুল বারী হামীম, আতাউর রহমান, রওশন ইয়াজদানী, মোঃ তাজুল ইসলাম, নাসির হোসেন, জান্নাতুল মাওয়া, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, মোঃ সানজিদ রহমান শুভ, ইসমাইল সম্রাট, মোঃ রিয়াদ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।